New Arif Azad Books Pdf Download All
আমার প্রিয় লেখক
* লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ
* জন্ম ও পরিচয়ঃ হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে আলোড়ন তৈরী করা আরিফ আজাদ এর জন্ম ১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। ব্যক্তিগত জীবনের খুব সামান্য তথ্যই জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন প্রচণ্ড অন্তর্মুখী স্বভাবের প্রচার বিমুখ এই লেখক। এমনকি নিজের কোনো ছবিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেননি তিনি। আরিফ আজাদের আহলিয়া (স্ত্রী) পর্যন্তও বিয়ের আগে তাঁর লেখক পরিচয় জানতে পারেননি। নিজেকে লুকিয়ে রাখার পিছনে গভীর রহস্যের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সাধারণ পাঠক হিসেবে সেই রহস্য উন্মোচনের সামর্থ্য আমাদের না থাকলেও তিনি যে অহংকার থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে পাঠকদের কাছে ধরা দিচ্ছেন না সেটা সহজেই বোধগম্য। লেখক ধরা না দিলেও তাঁর লেখনী আত্মগোপনে নেই, আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অগণিত পাঠকের জীবনে। “আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা”, লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডা. শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচূর্ণ করেন”।
* শিক্ষাজীবনঃ তরুণ প্রতিভাবান এই লেখক মাধ্যমিক পাশ করেন চট্টগ্রাম জিলা স্কুল থেকে। তারপর একটি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখান থেকেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। তুখোড় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও নাড়ির টানে তিনি রাজধানীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি পরীক্ষা দেননি। এমনকি তিনি জীবনে প্রথম ঢাকা আসেন তাঁর তুমুল জনপ্রিয় বই “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ” প্রকাশের ১৫ দিন পর।
* কর্মজীবনঃ লেখকের প্রথম বই “প্যারাডক্সিকাল সাজিদ” ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার পর তিনি লেখালেখিতে নিজেকে পূর্ণরূপে নিয়োজিত করেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি গবেষণা করছেন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে।
* সাহিত্যকর্মঃ প্রিয় লেখক আরিফ আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করতেন। প্রথম দিকে তিনি তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষীদের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের যৌক্তিক ও অকাট্য উত্তর দিতেন এবং সেইসাথে নাস্তিকদের দিকে ছুড়ে দিতেন পাল্টা প্রশ্ন, যার যৌক্তিক প্রত্যুত্তর নাস্তিকদের পক্ষ থেকে কখনো আসতোনা। অনলাইনে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক ব্লগ লিখলেও আরিফ আজাদের প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায়। জীবনের প্রথম বইটিই দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেয় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে, আর মেরুদণ্ড ভেঙে দেয় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষীদের। “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ” এর কেন্দ্রীয় চরিত্র “সাজিদ” বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যমে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে নাস্তিকদের নাস্তানাবুদ করে। বাংলা ছাড়াও বইটি পরবর্তীতে ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিত হয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমত ও অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ও অনুপ্রাণিত হয়ে লেখক ইসলামী সাহিত্যে একের পর এক অমূল্য রত্ন সংযোজন করতে থাকেন। ২০১৮ সালে আরজ আলী মাতুব্বর এর বিভ্রান্তিমূলক ধ্যান ধারণাকে চপেটাঘাত করে প্রকাশ করেন “আরজ আলী সমীপে” এবং পরের বছর প্রকাশিত হয় সাজিদ সিরিজ এর দ্বিতীয় বই “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২”। গত বছর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয় লেখকের আত্মোন্নয়নমূলক বই “বেলা ফুরাবার আগে”, যা অন্ধকারে নিমজ্জিত যুবসমাজকে ইসলামের আলোর সন্ধান দেয়। এছাড়াও তিনি “গল্পগুলো অন্যরকম” বইয়ের সহলেখক এবং জনপ্রিয় বই “প্রত্যাবর্তন” ও “মা,মা,মা এবং বাবা” সম্পাদনা করেন। ২০২১ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের প্রকাশিতব্য বই “জীবন যেখানে যেমন” পড়ার জন্যও মুখিয়ে আছে অগণিত পাঠক।
* পুরস্কার ও সম্মাননাঃ ২০১৭ থেকে ২০২০ টানা চারবার একুশে বইমেলার বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড ও রকমারি বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড সহ আরিফ আজাদ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন হলো হাজারো পথভ্রষ্ট মানুষের হিদায়াতের ওয়াসিলা হতে পারা এবং সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া। তিনি একুশে পদক পাননি, অর্জন করেননি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁকে ভূষিত করেনি ডি.লিট উপাধিতে। কিন্তু তিনি মাত্র চার বছরে তাঁর লেখনীর দ্বারা মানুষের হৃদয়ে যতটা জায়গা করে নিয়েছেন, বিখ্যাত অনেক লেখকগণ তা চল্লিশ বছরেও পারেননি। একজন আরিফ আজাদের প্রাপ্য পুরস্কার ও যোগ্য সম্মাননা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নিকটই রয়েছে।
* প্রিয় উক্তিঃ “যদি জানতে পারেন আগামীকাল আপনার জীবনের শেষ দিন, এরপরের দিন-ই আপনি মারা যাবেন, বলুন তো – আগামীকালটা আপনি ঠিক কিভাবে কাটাবেন?
সে দিনটাকে আপনি যেভাবে কাটাতে চান, আজকের দিনটাকেও ঠিক সেভাবে সাজিয়ে নিন, কারণ – আপনি সত্যিই জানেন না যে, আগামীকাল আপনি আদৌ বেঁচে থাকবেন কী-না।”