[PDF] মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ রচনা ১০০০ শব্দ
মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ রচনা ১০০০ শব্দ PDF Download:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংথামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংবাদপত্র ও সংবাদকমীরৃন্দ। রণাঙ্গনের রক্তঝরা দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে-সময়ে যেসব সাংবাদিক বন্ধু বাংলাদেশের জন্য খবর সংগ্রহ করেছেন তাদের অনেকের সঙ্গেই আমার সুসম্পর্ক ছিল। অনেক সংবাদপত্রের সঙ্গেই ছিল আমার আন্তরিক পরিচয়। যুদ্ধরত বাংলাদেশে, ভারতে এবং বিশ্বের অন্যত্র যেসব পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হতো, তার সবগুলোই যে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছে তা নয়, অনেক পত্র-পত্রিকায়ই বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক খবরাখবর বাংলাদেশ স্বাধীন হোক, তারা বাংলাদেশের মানুষের সংগামকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করবে এটাই স্বাভাবিক । হলুদ সাংবাদিকতা আজ যেমন আছে, সেদিনও তেমনি ছিল। কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতাকে পরাজিত করে সেদিন শুদ্ধ সাংবাদিকতাই জয়ী হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব পত্র-পত্রিকা সেদিন আমাদের প্রেরণা জোগাতো- সেগুলোর সংখ্যা মোটেই নগণ্য নয়, হয়তো সেদিনের সংবাদপত্রে আজকের দিনের সংবাদপত্রের মতো এত জৌলুস ছিল না, কিন্তু সেসব সংবাদপত্রের বস্তনিষ্ঠ খবর শুনে আমরা বুকে বল.ফিরে পেতাম।
‘জয় বাংলা”, “বঙ্গবাণী’, “ন্বদেশ’, রণাঙ্গন’, “বাংলাদেশ’, “বিপ্লবী বাংলাদেশ”, ‘মুক্তিযুদ্ধ’, “বাংলার মুখ’, “জন্মভূমি’, “সোনার বাংলা”, “বাংলার বাণী”, “নতুন বাংলা”, “মুক্তবাংলা”, “আমার দেশ’ ইত্যাদি পত্র- পত্রিকার সম্পাদকীয় ও অন্যান্য সংবাদ যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করে দেশ-স্বাধীনের যে প্রেরণা জুগিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ তা কোনোদিন ভুলবে না। সেদিনের প্রতিটি বাঙালি সন্তানই দেশের জন্য গভীর অনুরাগ অনুভব করেছেন। এর দৃষ্টান্ত হিসেবে পটুয়া কামরুল হাসানের একটি বিখ্যাত সৃষ্টির প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চাই- মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্যে তখন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত। তেমনি একটি বিষয় ছিল প্রকাশনা । তখন প্রায় নিয়মিত ন্যাপ অফিসে আসতেন কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান, পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পী মোস্তফা আজিজ এবং সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত।