পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ১ম অধ্যায় Pdf 2022 💖| hsc civics 2nd paper guide pdf
এইচএসসি ও এডমিশন প্রার্থী শিক্ষার্থী বন্ধুরা, পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ১ম অধ্যায় pdf download করতে এবং ফলো করো pouroniti 2nd paper guide pdf link.
সঙ্গীত প্রাণীমাত্রেই জীবনের অমৃতময়ী ধারা। প্রাণময় জগতে আমরা যা লক্ষ্য করি, শ্রবণ করি সমস্তই এক একটি স্পন্দনে বিশেষভাবে আন্দোলিত হচ্ছে। বিশ্ববক্ষান্ডের সমস্ত জীবসত্ত্বার মধ্যেই এই স্পন্দন প্রতীয়মান । এই স্পন্দনই ধ্বনি, নাদ তথা সুররূপে বিকশিত হয়ে আমাদের শাশ্বত হৃদয়ে আনন্দের সঞ্চার করে । এপারের স্পন্দন ওপারের স্পন্দনের সঙ্গে যখন মিলিত হয় তখনই প্রকাশ হয় সুর সতবার। এই সুর সত্াই রূপান্তরিত হয় প্রাণবন্ত সঙ্গীতে। প্রাণবন্ত সঙ্গীতের অনুশীলনই মানবকে দেয় সেই ভাবলোকের সন্ধান। আর যে মানুষ সেই ভাবলোকের সন্ধান পায় একমাত্র সেই আস্কাদন করে অখন্ড বিচিত্র সুরের স্বাদ। কাজেই সঙ্গীত একটি প্রাণ ধর্মী বন্তু। শাশ্বত হৃদয়ের যে অনুভূতি, যে ধর্ম, সঙ্গীতেও হবে সেই অনুভূতি এবং সেই ধর্ম। সঙ্গীতের সুলালিত্য সুমধুর সৌন্দর্য শ্রুতিরস তথা সুরের অপূর্ব সুকলাকৌশলে মানবের অপ্রনশ্যতি হৃদয়ের প্রেম-ভক্তি, বিরহ-জ্বালা, আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ, প্রণয়-অনুরাগ এবং আনন্দ-বেদনাকে প্রশমিত এবং অন্তরকে সুপ্রসরর নির্মল তথা কলুষ মুক্ত করে স্ববৈশিষ্টকে সঠিক মার্ণে চালিত করতে সুসক্ষম হয়। এতদভিন্ন হৃদয়ের সকল অবাপ্থিত কলুষতা দুরিভূত করে প্রোতস্থিণীর ন্যায় টেনে নিয়ে যায় এক অনন্ত ভক্তি প্রেমের জগতে ।
ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অনেক সাধক মহাপুরুষ এবং বিদগ্ধ ত্যাগি ব্যক্তিরা সঙ্গীতের বিচিত্র সুরের মাধ্যমে পরমপুরুষের আরাধনা করেছেন এবং উষ্টের দিদার লাভ করতেও সক্ষম হয়েছেন । তাই সঙ্গীত সকল বিদ্যার উর্ধে । কাজেই বাল্যকাল থেকেই আমাদের সঙ্গীতের পাঠ গ্রহণ এবং সঙ্গীত সমন্ধে যথাযথ ভাবে জ্ঞানার্জন করা একান্ত অপরিহার্য আমাদের দেশে রাগ রাগিণীর প্রচলন বহুকালের। কিন্তু সে স্থৃতি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে সঙ্গীত শিক্ষারতাবস্থায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাঠ গ্রহণ এবং এর স্বরূপ সমন্ধে যথাযথ ভাবে জ্ঞানার্জন করা বিশেষভাবে প্রয়োজন। কারণ দীর্ঘদিন যাবৎ সঙ্গীত শিক্ষা দান ব্রতে যে যৎকিঞ্চিত জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে তা”্দারা এতটুকু জানতে পেরেছি যে, সঙ্গীতের একমাত্র মূলমন্ত্র হচ্ছে রাগ সঙ্গীত। কাজেই সঙ্গীত শিক্ষার্থী বা শিল্পী উভয়কেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বা রাগ সঙ্গীত শিক্ষার্জন করা একান্তই প্রয়োজন । কারণ রাগ সঙ্গীত শিক্ষা বর্জন করে যতই সুকণ্ঠি গায়ক হওয়া যাক না কেন, তা হবে ক্ষণস্থায়ী । তাই সঙ্গীতে প্রকৃত ভাবে উন্নত করতে হলে এবং কণ্ঠকে সুমার্জিত সুলালিত্য এবং কণ্ঠের বিভিন্ন কারুকার্য বর্ধনের জন্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাধনা করা একান্তই বাঞ্ছনীয় । এতদভিন্ন শিল্পীর শৈল্পিকের পূর্ণ বিকাশ ঘটে একমাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাধনায় ।