(New) তাযকেরাতুল আউলিয়া PDF Download❤️
Book: Tajkeratul Aulia PDF || তাযকেরাতুল আউলিয়া pdf
book | তাযকেরাতুল আউলিয়া আউলিয়াদের কাহিনী ১-২ খণ্ড একত্রে |
Author | হযরত শেখ ফরীদ উদ্দিন আত্তার (র.) |
Translator | মাওলানা এ কে এম ফজলুর রহমান মুনশী |
Publisher | রশীদ বুক হাউজ |
ফাইল ফরমেট | পিডিএফ ডাউনলোড |
Edition | 1st Edition, 2017 |
totlaof Pages | 658 page |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
তাযৃকেরাতুল আউলিয়া : জাফর ছাদেক (রহঃ)-এর কথা শুনে দাউদ তায়ী কেঁদে কেঁদে বললেন, ওহে মাবুদ! তোমার নবীর রক্ত ধারা যার শরীরে প্রবাহিত, যার স্বভাব-চরিত্র নবী (দঃ) চরিত্রের আদর্শে গঠিত,যার নানা তোমার প্রিয় রাসূল, যার জননী ধর্মভীরু আদর্শ মহিলা তিনিই যখন নিজ কর্মের প্রতি এতটা নিরাশ এবং মুক্তি সম্পর্কে এতটা চিন্তিত ও উদ্িগ্র, তখন দাউদ তায়ী আর এমন কি মানুষ যে নিজের কর্মে গৌরববোধ করবে? একদা হযরত জাফর ছাদেক (রহঃ) স্বীয় সঙগী-সহচরদেরকে বললেন, এস, আমরা সকলে আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, যে আমাদের মধ্যে রোজ কিয়ামতে মুক্তি লাভ করবে, সে আর সকলের গুনাহ মাফীর জন্য আল্লাহ্র দারবারে সুপারিশ করবে। তাঁরা বললেন, হযরত! আমাদের এরপ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ায় আপনার এমন কি প্রয়োজন রয়েছে? যেখানে আপনার নানাজী স্বয়ং সুপারিশ করবেন? -জবাবে জাফর ছাদেক বললেন, দেখ! আমি নিজের ব্যাপারে রোজ কিয়ামতে তার দিকে চাইতে শরম অনুভব করি, তাই তোমাদের কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছি। মানুষের জন্য প্রকাশ্য এবং মাবুদের জন্য ভিতরের বন্তুঃ একদা এক ব্যক্তি হযরত জাফর ছাদেক কে মূল্যবান পোশাকে ভূষিত দেখে গ্রতিবাদের সুরে বলল, হুযুর! নবী বংশের কোন ব্যক্তির পক্ষে এরূপ পোশাক পরিধান করা শোভনীয় মনে করি না। তখন জাফর ছাদেক (রহঃ) লোকটির হাত জামার ভেতরে ঢুকিয়ে দেখালেন। ভেতরের জামাটি খসখসে ও মোটা । এরপর তিনি বললেন, ‘হাযা লিল খালকি অ হাযা লিল হাকি। আমার একটি জামা মানুষের মাঝে চলাফেরার জন্য আর অন্যটি মহান আল্লাহ্র দরবারে নামায আদায়ের জন্য ।
জ্ঞানী কোন ব্যক্তি একবার জাফর. ছাদ্রেক, (রহঃ) ইমাম আবু হানিফার (রহঃ) কাছে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা আপনি জ্ঞানীর সংজ্ঞা বূলুন, তো শুনি। তিনি বললেন, জ্ঞানী সেই ব্যক্তি, যে ভাল ও মন্দের বিচার জানে। জাফর ছাদেক বললেন, তা তো একটি জন্তুও করতে পারে। কেননা যে তাকে আদর-যত্র করে, সে তার ক্ষতি করে*না। পক্ষান্তরে যে জন্তুটিকে আদর-যত্র করে না; বরংকষ্ট দেয়, সে তার ক্ষতি করে। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বললেন, তাহলে জ্ঞানীর সংজ্ঞা এবার আপনি বলুন। জাফর ছাদেক (রহঃ) বললেন, যে ব্যক্তি দুটো ভাল কাজের মধ্যে উত্তমটিকে গ্রহণ করে আর ওজরের স্থুলে দুটো খারাপ কাজের মধ্যে কম খারাপটি গ্রহণ করে। খোদা প্রদত্ত গৌরবে গ্লৌরববোধ করা অহমিকা নয় ঃ এক ব্যক্তি একদা হযরত জাফর ছাদেকের কাছে আরজ করল, আপনার মধ্যে জাহেরী-বাতেনী গুণ থাকা সন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি নিজেকে নিজে যেন কিছুটা বড় মনে করেন। জবাবে জাফর ছাদেক (রহঃ) বললেন, শুন! আমার নিজন্ব গৌরব ও অহঙ্কার ধুয়ে-মুছে ফেলেছি। তবে কতগুলো খোদা প্রদত্ত গৌরব থাকে, যা আপনা থেকে প্রতিভাত হয়, তাতে ব্যক্তির কোন হাত নেই। সুতরাং তাকে অহঙ্কার বা অহমিকা বলা যায় না।
টাকার ঘটনা : একবার ঘটনাক্রমে জাফর ছাদেক (রহঃ). এক অপরিচিত লোকের সঙ্গে দু চারটি দিন অবস্থান করলেন। লোকটির কাছে একটি টাকার থলি ছিল। এ টাকার লিটি কোথায় সারিয়ে গেল। লোকটি সে টাকা জাফর ছাদেক (রহঃ)-ই নিয়েছেন বলে সন্দেহে করল এবং তার কাছেই তা দাবী করল। কিন্তু তিনি কোনরূপ প্রতিবাদ না করে শুধু জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কত টাকা ছিল? সে বলল, দু হাজার টাকা । তিনি লোকটিকে নিজ গৃহে নিয়ে গেলেন এবং তাকে দু হাজার টাকা দিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে লোকটি তার হারানো টাকাগুলো পেয়ে গেল। সে জাফর ছাদেক (রহঃ)-এর কাছ থেকে নেয়া দু হাজার টাকা তাকে ফেরত দেয়ার জন্য তার গৃহে গেল এবং তকে টাকা ফিরিয়ে দিতে চাইল । কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না.করে বললেন, আমি যাকে কিছু দিয়ে
ডাউনলোড লিংক: