কাজল চোখের মেয়ে কবিতা – Kajal cokher Meye Kavita
সাদাত হোসাইনের কাজল চোখের মেয়ে কবিতা – Kajal cokher Meye Kavita:
>> শোনো, কাজল চোখের মেয়ে,
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে,
তোমার চোখে চেয়ে।
>> দহনের দিনে কিছু মেঘ কিনে,
যদি ভাসে মধ্য দুপুর,
তবু মেয়ে জানে,
তার চোখ মানে,
কারো বুক পদ্মপুকুর।
>> এই যে মেয়ে,কাজল চোখ,
তোমার বুকে আমায় চেয়ে
তীব্র দাবীর মিছিল হোক।
>> তাকাস কেন?
আঁকাস কেন বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে,
তুই তাকালে থমকে থাকে,
আমার বুকের বাঁ পাশ।
>> অমন কাজল চোখে তুমি
চেয়ো রোজ ওই চোখে
জীবনের হিসেব সহজ
>> তোমার চোখ চেয়েছি বলে,
এমন ডুবলো আমার চোখ,
অমন অথৈ জলে রোজ,
আমার ডুব সাঁতারটা হোক।
শোনো, কাজল চোখের মেয়ে,
আমি তোমার হবো ঠিক,
তুমি ভীষণ অকূল পাথার,
আমি একরোখা নাবিক
>> শোনো, জল ছলছল
কাজল চোখের কন্যা সর্বনাশী,
আমি তোমায় ভালোবাসি।
>> কুড়িয়ে নিয়েছি সব,
জমা ছিলো যত,
পুরনো স্মৃতির দিন,
বেদনার ক্ষত,
পিছুটান পিছে ফেলে সীমানা ছাড়াই,
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই।
>> উড়িয়ে দিয়েছি ঘুড়ি সুতোটুকু
কেটে পুড়িয়ে দিয়েছি চিঠি
জমা বুক পকেটে,
এখন পথিক হয়ে পথে পা বাড়াই,
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাড়াই?
>> আয়নায় জেগেছিলো কাজল দু চোখ,
লেগেছিলো লাল টিপ,
স্মৃতির সূচক,
তার সব ভেঙে কাঁচ দু পায়ে মাড়াই,
তবু যেতে যেতে কেন থমকে দাঁড়াই
>> মিছেমিছি মায়া, ছুঁয়ে দিলে ছায়া,
তবু পথ চাওয়া থেকে যায়,
ধুয়ে দিলে জল, চোখের কাজল,
কী জানি কী তবু রেখে যায়।
>> জল জমে থাকা কাঁচে,
জ্বর হয়ে থাকা আঁচে,
তুমিও থাকো অসুখের মতো কী ভীষণ ছোঁয়াচে!
>> যেতে হলে, এখুনি যাও,
পরে গেলে মায়া বেড়ে যাবে,
থেকে গেলে, এখুনি থাকো,
বেলাশেষে ছায়া বেড়ে যাবে।