Sale!

জানালার ওপাশে – সাদাত হোসাইন

(2 customer reviews)

৳ 150.00 ৳ 105.00

বইয়ের নাম: জানালার ওপাশে
লেখক: সাদাত হোসাইন
প্রকাশনী: ভাষাচিত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬২
মুদ্রিত মূল্য : ১৫০৳

janalar opashe sadat hossen book review

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক তিনি। বই প্রি-অর্ডারই হয় হাজার হাজার। ‘মরণোত্তম’ উপন্যাসটা ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম। হয়তো বর্ধিত করে এ বছর বের করেছেন লেখক। ‘জানালার ওপাশে’ উনার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। গল্পগুলোর বিষয় ও অনুভূতি পেশ করছি-
‘জানালার ওপাশে’ নামগল্পটি ব্যক্তিগত বেদনাদায়ক স্মৃতি, ভালোবাসার সম্পর্কে বাধাসৃষ্টির রচনা। পুরোটাই রাতুল ও আনিকার মধ্যে ফোনে কথোপকথন এবং জানালার ওপাশের রেন্ট্রিগাছকে ঘিরে মানুষের কার্যক্রমের বর্ণনা। তিন-চারটা বানান ভুল, বয়সের উল্লেখ নিয়ে সমস্যা চোখে পড়ার মতো।
‘পুঁটিমাছ’ ও ‘সে’ গল্প দুটোই প্রেমের গল্প। প্রত্যক গল্পে উদাসীন, বেকার প্রেমিককে সামলে রাখে প্রেমিকা। সাদাত হোসাইনের কোন প্রেমিকা হয়ত রাজশাহীতে পড়ালেখা করত। কারণ গল্পগুলোতে প্রেমিকা রাজশাহী থেকে ঢাকায় প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আসে। ‘সে’ গল্পের শেষটা সুন্দর।
‘সাইকেল’ গল্পটি একটি সাদা গাড়ি কেনার স্বপ্নে বিভোর বাবার, ছেলেদের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে শেষমেশ স্বপ্ন থেকে যাবার রচনা। এরকম গল্প অনেক লেখা হয়ছে। কোন বিশেষত্ব নেই।
‘ সোবহান সাহেব মারা গেছেন’ রচনাটি মারা যাওয়ার পর নিজের স্মৃতিচারণ ও বর্তমান নিয়ে নিজেই কথা বলে যাওয়ার অসহ্যকর গল্প। মৃত ব্যক্তি পরিস্থিতি নিয়ে নিজেই বর্ণনা করছে- ব্যাপারটা আমার খুব অপছন্দ। পুরো পড়ার আগ্রহ হয়নি।
‘বোধ’ গল্পটায় সবচেয়ে ভালো এ গ্রন্থে। বানের পানি কেড়ে নেয় দুটো বাচ্চার প্রাণ -একুটা গাইয়ের ও আরেকটা মানুষের। রেখে যায় বোধের আর্তনাদ।
মোটকথা, গল্পগুলো খুবই হালকা মেজাজের। পড়তে বসে মাথা চুলকাতে হবে না। সাদাত হোসাইনের ভক্ত হলে পড়ে ফেলেন, তবে আমার কাছে সংগ্রহে রাখার মতো মনে হয়নি। কিন্তু লেখককে ধন্যবাদ। হুমায়ূন আহমেদের পর বর্তমান লেখকদের মধ্যে পাঠকদের বইমুখো করার ক্ষেত্রে উনার অবদান আছে। পাঠককে সমৃদ্ধ করার জন্য উনার কাছ থেকে আরো অনেক মানসম্পন্ন লেখা পাওয়ার আশা রাখছি। ধন্যবাদ। 😊
বইটি নিয়ে একটা গ্রুপে খারাপ রিভিউ পেয়েছি, আসলে কি তাইই??? বইটি কিনে পড়লে বুঝবেন। ভাল ছিল।
হাল আমলের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইনের এই গল্পগ্রন্থটি ছোট বড় মিলিয়ে মোট ছয়টি গল্পে লিখিত। বইয়ের নাম ভূমিকার প্রথম গল্প হলো “জানালার ওপাশে”।
১। জানালার ওপাশে –
শুরুটা ফোনকলে আনিকা এবং রাতুলের ঝগড়ার সংলাপের মধ্যে দিয়ে। এরপর মানসিক ট্রামায় ভোগা রাতুল কয়েকদফা কল রিজেক্টের পরে প্রেমিকা আনিকার সাথে কথা বলে। তার মানসিক অস্থিরতার কারণ হিশেবে লেখক রেইনট্রি গাছের পাশের একটি নীল প্লাস্টিকের জানালা, ময়লার ড্রেন, হাতল ভাঙা চাপকল এবং এসবের সাথে জড়িতে এক কাহিনী উল্লেখ করেন।
২। পুঁটিমাছ – এটাকে প্রেমের গল্প বলা যায়। প্রেমের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে
একদিনের জন্য রাজশাহী থেকে ঢাকা আসছে নীতু। কিন্তু, ভুলোমনা রফিক ঘুম থেকে উঠে দেখে তার পকেটে মাত্র তেরো টাকা! ওদিকে নীতুর স্বপ্ন রফিক তাকে সতেরোটা গোলাপ উপহার দেবে। এমন উভয় সংকটে যখন নাস্তানাবুদ অবস্থা তখন রফিককেই সারপ্রাইজ দেয় নীতু।
৩। সাইকেল- আফজাল হোসেন এককালে সাইকেলে অফিস করলেও এখন বয়সের ভারে লোকাল বাসের ধাক্কি সামলিয়ে যাতায়াত করেন। অফিসের বড় স্যারের মতো তারও একটা গাড়ি থাকবে এমন শখ। যথারীতি টাকা জমানো হলেও হচ্ছে হবে করে সন্তানদের সুখের জন্য সে গাড়ি আর কেনা হয়ে উঠে না। ঘটনাপ্রবাহে এক সময় আবারও সম্বল হয় সেই জং ধরা দুই চাকার সাইকেল।
৪। সোবহান সাহেব মারা গেছেন-
এই গল্পের প্লট অনেকটা হুমায়ূন আহমেদের “মেঘের উপর বাড়ি” এর মতো। সোবহান সাহেব মারা যাবার পরেও তিনি সবকিছু শুনতে ও দেখতে পান। এ গল্পে লেখক শোকের চেয়ে সম্পত্তির উপরে যে প্রিয়জনদের লোভ-লালসার পারদ উর্ধ্বমুখী থাকে সেটাই টুইস্ট হিশেবে দেখাতে চেয়েছেন।
৫। সে- নামটা শুনে রোমান্টিক জনরার গল্প মনে হতে পারে। তবে, আমার মনে হচ্ছে লেখক জোর করেই রোমান্টিক বানানোর চেষ্টা করেছেন। প্রেমিকা শীলাকে হারানোর ভয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকে হাসান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়। শেষ দিকে বাংলা সিনেমার সস্তা ঘটনার মতো তাদের মিল করা হয়।
৬। বোধ- এই গল্পের কথক আনু নামের এক ছেলে। ঘোরতর বর্ষার বন্যায় সবকিছু ডুবি ডুবি অবস্থা। সেই সময় গ্রামে আসে মকবুল হোসেনের শহুরে ছেলে শফিক,বউমা আর ছোট্ট নাতী বোধন। একই সময়ে তাদের আদুরে গাভী কালুর সদ্যোজাত বাছুর পানিতে ডুবে মারা যায়। এ নিয়ে মকবুল বা তার স্ত্রীর শোক হাস্যকর মনে হয় শফিকের। কিন্তু, প্রকৃতি শফিক ও কালুর শোক একাকার করে দেয়।
পাঠ্যনুভূতি : বইটা হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের অনুকরণে নামকরণ করা হয়েছে কিংবা হুমায়ূনী ঢঙে লেখা কি না আমি সেদিকে যাবো না। তবে বইয়ের প্রতিটা গল্পে লেখক একই বাক্যে বারবার ব্যবহার করে মান কমিয়েছেন। যেমন,
প্রথম গল্পে রাতুল আর আনিকার মধ্যকার কথপোকথনে লেখক একই ধরনের বাক্য অনেকবার পুনরাবৃত্তি করেন। উদাহরণ ,গুনিনি। গুনিনি মানে? রিপ্লাই দাওনি কেন? কি রিপ্লাই দেব? কি রিপ্লাই দেব মানে? স্বাভাবিক হতে হবে মানে! স্বাভাবিক হতে হবে মানে কি? তুমি কি বলতে চাইছো? কি বলতে চাইছো তুমি?
এছাড়াও নীল প্লাস্টিকের জানালা,রেইনট্রি,চাপকল,চাতাল…..এসব শব্দ কয়েক বহুবার উল্লেখ হয় যে পড়তে গেলে রীতিমতো বিরক্তিকর লেগেছে!
দ্বিতীয় গল্পে লেখক সম্ভবত বই পড়া এবং কাপড় পরা এই দুটোর মধ্যে বানানগত পার্থক্য ভুলে গেছিলেন। এছাড়া গল্পটার প্লট অতি কমন!
পুঁটিমাছ,সে এসব সস্তা প্লটের গল্প। প্লটের গভীরতা কম সাথে দুর্বল বাক্যগঠন। সোবহান সাহেব মারা গেছেন এর মন্তব্য তো বলেই দিয়েছি।
বোধ গল্পটাও বরাবরের মতই শুরু একটা বাক্যকে দুই তিনবার পুনরাবৃত্তি করার মাধ্যমে। বন্যায় পানি উঠা আবার একসাথে তে তে করে রোদ উঠা এই বাক্যটা আমার বোধগম্য ছিল না!
এছাড়াও পুরো গল্পগ্রন্থে লেখক একইরকম বর্ণনায় কোথাও শুধুই বিশেষ্য এবং কোন কোনখানে শুধুই সর্বনামের ব্যবহার করে গিয়েছেন যেটা দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে।

2 reviews for জানালার ওপাশে – সাদাত হোসাইন

  1. Panna khanom

    দরজার ওপাশে জানি কার লেখা! হাওইভার কাকতালীয়ভাবে উনার সব বইয়ের নাম কেন জানি কাছাকাছি হয়ে মিলে যায় একজনের সাথে. না না!ফেলে দেওয়ার জন্য এক্কেবারেই নয়।
    বেস্ট সেলার লেখকদের বই ফেলে দেওয়ার মতো এতবড় স্পর্ধা আমি দেখাতে পারিনা!
    এছাড়াও ৫০০/৬০০৳ এর ভীড়ে ভাগ্যক্রমে এই একটা বই অল্পদামে পেয়েছি।

  2. Sajjat alam

    ভালো লাগছে না৷ আজ আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না৷ কিচ্ছু না৷ কী করব বুঝতে পারছি না৷ একটুও না৷ মনে জমে আছে খুব কষ্ট৷ খুব! যা কাউকে বলতে পারব না৷ কখনোই না। কোনোকালেও না৷ মুভি দেখে কাটাচ্ছি৷ মুভিটা খুব সুন্দর। অনিন্দ্য সুন্দর৷ ভয়ংকর সুন্দর। তবু মন ভালো হচ্ছে না৷ একটুও না। আর কখনোই বোধহয় হবে না৷ কোনোদিন না!
    প্লিজ কেউ আমাকে মারবেন না৷ আমি কিন্তু সাদাত হোসাইন নই!

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button