Currently set to Index
Currently set to Follow
Bangla Book Pdf Download (All)

দেবযান PDF Download❤️(বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)

Debjan Bibhutibhushan Bandopadhyay pdf | দেবযান pdf ডাউনলোড করতে পছন্দ করো.

  • বইয়ের নামঃ দেবযান
  • লেখকঃ  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • প্রকাশনীঃ মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ
  • প্রকাশকালঃ ২০১৩
  • পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৮
  • সাইজঃ ২৯ এমবি
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ ডাউনলোড
  • টেক্স ফরম্যাটঃ এইচডি স্ক্যান
  • রেজুলেশনঃ ৬০০ ডিপিআই
  • বইয়ের ধরণঃ চিরায়ত উপন্যাস

যতীনের মনটা খুশি হোল। এতক্ষণ সত্যিই তাদের এখানে দেখবার লোক ছিল না। আয়োজন খুব বড় বটে কিন্তু পরিবেশন করবার ও দেখাশুনো করবার লোকের অভাবে-সাধারণ নিমস্ত্রিতদের অদৃষ্টে বিশেষ কিছু জুটচে না।  আহারাদি শেষ হয়ে গেল। এখুনি পুকুরের ধারে বাজি পোড়ানো হবে, কলকাতা থেকে বরপক্ষ ভাল বাজি এনেচে, এসব পাড়ার্গায়ে অমন কেউ দেখেনি। বাজি দেখবার জন্যে পুকুরের ধারে লোকে লোকারণ্য হয়েচে। যতীনও তাদের মধ্যে গিয়ে দাড়ালো।  হুস্‌ শব্দে একটা হাউই আকাশে উঠে গিয়ে প্রায় নক্ষত্রের গায়ে ঠেকে ঠেকে তারপর লাল নীল সবুজ ফুল কেটে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে লাগলো ।  দলের অনেকে চিৎকার করে উঠলো, আগুন লাগবে। আগুন লাগবে।  দু-চারবার এ রকম তারাবাজি উঠলো নামলো, কারো ঘরের চালে আগুন লাগলো না দেখে উদ্বিগ্ন লোকদের মন শাস্ত হোল।

তারাবাজি একটার গায়ে একটা হুস্‌ করে আকাশে উঠছিল, আর যতীন আশ্চর্য হয়ে সে দিকে চেয়ে দেখছিল একদৃক্টে উরধ্বমুখে। বহুদিন ধরে সে পাড়ার্ায়ে নিতান্ত দুরবস্থায় পড়ে আছে, অনেকদিন ভাল কিছু দেখে নি। কলকাতার সে ছাত্রজীবন এখন আর মনে পড়ে না যেন-_-সে সব যেন গত জন্মের কাহিনী।  সুতোরগাছির মেঘনাথ চক্তত্তি ওকে দেখে বল্লে-এই যে যতীন। আজ রায়সাহেবের বাড়ি খেলে নাকি? তোমার,নিমত্তন ছিল? তা তোমাদের বলতে সাহস করে–কই আমাদের বলুক দিকি? ছোটজাত তিলি-তামলি, না হয় দুটো টাকাই হয়েচে, তা বলে ব্রাহ্মণদের নেমন্তন্ন করে খাওয়াবে বাঁড়িতে!…তোমরা গিয়ে নিজেদের গিয়ে মান খুইয়েচ তাই তোমাদের বলতে সাহস করে.  ছিঃ    যতীন যখন বাড়ি পৌঁছিলো তখন রাত্রি দ্িপ্রহর।  বাশবনের মধ্যে সুঁড়ি পথ পেরিয়ে ওর পৈতৃক আমলের কোঠা । অনেকগুলো ঘরদোর, বাইরে চণ্তীমণ্ডপ তবে এখন সবই শ্্রীহীন। একটা ধানের বড় গোলা ছিল, অর্থকষ্টে পড়ে গত মাঘমাসে সে সাড়ে সাত টাকায় গোলাটা বিক্রি করে ফেলেচে। গোলার ইটে-গাঁথুনি-সিঁড়ি ক’খানা মাত্র বর্তমান আছে।  আলো জেলে নিজের বিছানাটা পেতে নিয়েই সে আলোটা নিভিয়ে দিলে-_ তেলের পয়সা জোটে কোথা থেকে যে আলো জ্বালিয়ে রাখবে? অন্ধকারে শূন্য বাড়িতে একা বসলেই মনে পড়ে আশালতার কথা।  আশালতা কি করে এত নিষ্ঠুর হতে পারলে? বিয়ের পরে প্রথম পাঁচ বছরের কথা মনে হোলে তার বুকের মধ্যে কেমন করে ওঠে। এই ধরনের কত শ্রাবণ-রাত্রিতে এ ছাদে সে কত নিভৃত আনন্দ-সুহূর্তের কাহিনী এই বাড়ির বাতাসে আজও বাজে, কত মিষ্টি কথা, কত চাপা হাসি, কত সপ্রেম চাহনি।

or
or

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button