শিহাব একজন পঞ্চাশোর্ধ অবিবাহিত মানুষ। পেশায় একজন লেখক। একদিন সকালে তিনি তার রুমমেট হাসানকে আত্মহত্যা করার জন্য একটা দড়ি কিনতে বাজারে পাঠালেন। হাসান বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যার পর হাতে একটা একুরিয়াম নিয়ে ঘরে ফিরলো। পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেট থেকে দুটো গোল্ডফিশ রাখতে রাখতে বলল,
“এই মাছগুলোকে প্রতিদিন খাবার দিলে একটা সময় তারা তাদের মালিককে আলাদা করে চিনতে পারে।”
“সেটা ঠিক আছে, তোমাকে তো দড়ি কিনতে পাঠিয়েছিলাম। আজ বিকেলে পৃথিবী বরাবর তিন পৃষ্ঠার একটা চিঠি লিখে তোমার আত্মহত্যা করার কথা ছিল।”
হাসান পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে বলল, “আমি আত্মহত্যা করবো না।”
অতঃপর শিহাব তাকে বিকল্প একটা সমাধান দিলেন। বললেন, “ফাঁস নিতে ভয় পেলে বইয়ের পাতায় পটাসিয়াম সায়ানাইড মিশিয়ে রাখবে। পৃষ্ঠা উল্টানোর সময় হাতে লেগে তারপর জিহবায় মিশে গেলেই শেষ।”
একজন প্রকাশক লেখককে তাড়া দিচ্ছেন। তিনি অসহায় মুখ করে বলেছেন, লিখছি তবে লেখা এগোচ্ছে না। সেই লেখা কেন এগোচ্ছে না, সেটা বুঝতে গিয়ে আরও কতগুলো জীবনকে কাছ থেকে কিংবা আড়াআড়িভাবে জানা যায়। এখানে কেউ ডিভোর্স নিয়ে একসাথে থাকছে, কেউ বাস করছে স্মৃতিহীন এক জগতে। সে এক বৃষ্টির রাতে কলিংবেলের শব্দে দরজা খুলে দেখতে পায়, ছাতা হাতে শ্যামলা মতো একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলো,
“কে আপনি?”
মেয়েটা জবাব দিলো,
“তোমার স্ত্রী। তোমার একটা অসুখ হয়েছে, তাই আমাকে চিনতে পারছো না।”
Reviews
There are no reviews yet.